বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল
সিমেন্ট
সিমেন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশ এবং সিমেন্ট কত প্রকার ও কি কি।
সিমেন্ট হল বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নির্মাণ উপাদান। মানুষের প্রয়োজনের অনুসারে সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের সিমেন্ট জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সিমেন্ট এবং সিমেন্টের অন্যান্য রূপগুলো পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট থেকে উদ্ভূত হতে।বিভিন্ন ধরণের পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট তৈরি করা হয়েছে।
১। সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (Ordinary Portland Cement I)
২। পরিমিত পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (Modified Portland Cement)
৩। উচ্চ প্রারম্ভিক ক্ষমতা পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (Rapid Hardening )
৪। দ্রুত সেটিং সিমেন্ট (Quick Setting Cement)
৫। কম তাপ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (Low Heat Portland Cement )
৬। সালফেট প্রতিরোধী পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (Sulphate Resistant Portland Cement)
৭। জল নিরোধী পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট ( Water Repellent Portland Cement)
৮। জল প্রতিরোধক পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (Water Proof Portland Cement)
৯। উচ্চ এলুমিনিয়া সিমেন্ট (High Alumina Cement)
১০। পোর্টল্যান্ড স্ল্যাগ সিমেন্ট (Portland Slag Cement)
১১। বায়ু বান্ধব পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (Air Entraining Portland Cement )
১২। পজলনা পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (Pozzolana Portland Cement)
১৩। সুপারসালফেট সিমেন্ট (Supersulphated Cement)
১৪। রাজমিস্ত্রির সিমেন্ট (Masonry Cement)
✓এটি সাধারণ সিমেন্ট থেকেআরো একটু বেশী স্থিতিস্থাপক/আঠালো হয়।
✓এতে চুনা পাথর, স্ল্যাগ মিশানো হয় ।
✓উপরে উল্লিখিত উপকরণ সংযোজনে সিমেন্টের শক্তি হ্রাস।
১৫। সম্প্রসারিত সিমেন্ট (Expansive or expanding Cement)
✓এই সিমেন্টের মূল পার্থক্য এটা যে সেটিংয়ের সময় এর আয়তন (volume) বৃদ্ধি পায়।
সাধারণ সিমেন্ট থেকে তৈরি কংক্রিট এর সংকোচন প্রতিরোধ করতে এটি ব্যবহৃত হয়। কংক্রিট সঙ্গে এই সিমেন্ট সামান্য আনুপাতে মেশালে এটি ফাটল রোধ করে। এটা জলবাহী কাঠামোর তৈরির জন্য এটি ব্যবহার বিশেষভাবে বাঞ্ছনীয়।
✓মেরামতের কাজে, বিশেষ করে পুরাতন কংক্রিটের উপর নতুন আস্তর করতে এই সিমেন্ট এই ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়া আরো সিমেন্টের প্রকার সিমেন্ট।
১৬। উচ্চ এলুমিনিয়া সিমেন্ট ।১৭ দ্রুত সেটিং সিমেন্ট ।
১৮। ফ্লাই এস সিমেন্ট ।
১৯। হাইড্রোফোবিক সিমেন্ট ।
২০। তৈলাক্ত সিমেন্ট।
সিমেন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশ এবং সিমেন্ট কত প্রকার ও কি কি।
বাংলাদেশে সাধারণত, সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট, রাজমিস্ত্রির সিমেন্ট, পোর্টল্যান্ড স্ল্যাগ সিমেন্ট এবং সাদা সিমেন্ট তৈরি হয়। বাংলাদেশের সিমেন্ট উৎপদক প্রতষ্ঠান গুলো সিমেন্টকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে।সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট বা Ordinary Portland Cement (OPC) এবং পোর্টল্যান্ড মিশ্র সিমেন্ট বা Portland Composite Cement (PCC)।
(OPC) বা সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট।
শুধু মাত্র ক্লিংকার ও জিপসাম মিশিয়ে এই সিমেন্ট তৈরি হয়।সাধারণত ক্লিংকার ৯৫-৯৮% ও জিপসাম ৫-২% পর্যন্ত এই সিমেন্টে ব্যাবহার কর হয়ে থাকে। তুলনা মূলক ভাবে এই সিমেন্টের মূল্য বশী । বর্তমানে দেশের খুব কম সিমেন্ট কারখানা এই সিমেন্ট উৎপাদন করে। বাংলাদেশে এই সিমেন্টের বাজার খুব ছোট । বাংলাদেশে যে সকল কারখানা এই সিমেন্ট উৎপাদন করে তাদের মধ্যো আরামিট সিমন্ট লিঃ অন্যতম। এই প্রতষ্ঠান তাদের উৎপাদিত সিমেন্টের একটি বড় অংশ নিজেদের এসবেস্টর সীট কারখানায় ব্যাবহার করে বাকি অংশ দেশের বাজারে ও ভারতে রপ্তানী করে।(PCC) বা পোর্টল্যান্ড মিশ্র সিমেন্ট।
ক্লিংকার ও জিপসামের সাথে অন্য যে কোন উপাদান মিশিয় যে সিমেন্ট তৈরি হয় তাহাই PCC সিমেন্ট। বাংলাদেশে সাধারনণত স্ল্যাগ,লাইম স্টোন, ফ্লাই এস ও পজলনা মশনো হয়। সাধারণত ক্লিংকার ৭০-৮৫% , জিপসাম ২-৩% এবং বাকি অংশ অন্যান উপাদান বিভিন্ন অনুপাতে এই সিমেন্টে ব্যাবহার কর হয়ে থাকে। যেহেতু বাংলাদেশের বেশীরভাগ কারখানা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা ক্লিংকার ব্যবহার করে থাকে সেকারনে মিস্রনের অনুপাত ক্লিংকারের ধরণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম হয়। কারখানা গুলো তাদের নিজস্ব পরিক্ষাগারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই অনুপাত নির্ধারণ করে। কিন্তু সব গুলো কারখানাই তাদের উৎপাদিত সিমেন্টে বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড (BSTI) ও ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড(BS) অনুসরণ করে।
No comments