সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বেসিক নলেজ।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বেসিক নলেজ জলছাদ সম্পর্কে পর্ব -১৩।
১৫৮। জলছাদ কি?
উত্তরঃ জলছাদ হলো এক প্রকার ছাদ । টপ ছাদের উপর অতিরিক্ত একটা ছাদ ঢালায় দেওয়া হয় তাকে জলছাদ বলে।
১৫৯। জলছাদ কেন দওয়া হয়?
১৫৯। জলছাদ কেন দওয়া হয়?
উত্তরঃ এটির প্রধান কাজ হলো টপ ছাদকে ঠান্ডা রাখা, আর স্লোপের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি নিস্কাশন করা, আরও টপ ছাদ দিয়ে পানি ছোক করলে তা প্রতিরোধ করার জন্য ইত্যাদি।
১৬০। জলছাদের উপকরন গুলি কি কি?
বাড়ির নির্মাণ বিষয়ে ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দেখুন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বেসিক নলেজ।
১৬০। জলছাদের উপকরন গুলি কি কি?
উত্তরঃ ইহার প্রধান উপকরন হল চুন সুরকী খোয়া, তবে আরও কিছু জিনিস ব্যবহার হয় যেমন, তেতুল, চিটাগুড়, রসুন, খয়ের ইত্যাদি ।
১৬১। জলছাদ করার প্রক্রিয়া কি?
১৬১। জলছাদ করার প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ প্রথমে চুন ফোটানো হয় তারপর চুন চালতে হয়। তারপর প্রথমে খোয়া ছাদে সমান ভাবে বিছানো হয়, তার উপর সুড়কী ও সমান ভাবে বিছানো হয়, এবং তার উপর চুন ও সমান ভাবে বিছানো হয়। তারপর ভাল ভাবে মিশাতে হবে শুকনা অবস্থায় তিনটি কাটা দিতে হয়।
এর পর পানি দিয়ে মিশান হয়, এই মাল প্রতিদিন তেতুল ও চিটাগুড় ও রসুন ভেজানো পানি দিয়ে কাটতে হয় বা মিশানো হয়, ৭ থেকে ৮ টা কাটা দিতে হয় যেন মালটা ভালভাবে পচে মাল রেডি হলে ছাদে বিছানো হয়।
এখানে ঢালায়ের আগে স্লোপ হল প্রথম দেখার বিষয়, ভাল করে স্লোপ মেনটেন করে ঢালায় শেষ করতে হবে।
ছাদ শেষ হলে হালট ঢালায় কয়েক দিন পরে দিতে হয়।
এর পর কয়েক দিন পর ছাদ একটু শক্ত হলে পিটানো শুরু করতে হয় ভাল ভাবে পিটানোর পর সিমেন্ট, চুন মিলায়ে তালের ব্রাস দিয়ে ফিনিশিং দেওয়া হয়।
১৬২। প্রতি ঘনফুট ছাদে কি পরিমান মালামাল লাগে?
উত্তরঃ ২৫০০ বর্গফুট ছাদ । জলছাদের পুরুত্ব = ৪" । অনুপাত ২:২:৭ ।
ঢালায়ের পরিমান = {২৫০০x(৪"÷১২)} = ৮৩৩.৩৩ ঘনফুট cft ।
এখন আমরা জানি।
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে চুন লাগে ১২.৫০ মন ।
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে চিটাগুড় লাগে ০.৭৫ টিন ।
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে তেতুল লাগে ১.৫০ কেজি kg ।
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে রসুন লাগে ০.৫০ কেজি kg ।
এই হিসাব গুলি বাস্তবে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া ।
ভেজা মসলা = ৮৩৩.৩৩ ঘনফুট cft ।
শুকনা মসলা = ৮৩৩.৩৩x১.৫০ = ১২৫০.০০ ঘনফুট cft।
অনুপাত ২:২:৭ অনুপাতের যোগফল (২+২+৭)= ১১ ।
চুনের পরিমান = ১২৫০x২÷১১= ২২৭.২৭ ঘনফুট cft ।
সুরকীর পরিমান = ১২৫০x২÷১১= ২২৭.২৭ ঘনফুট cft ।
খোয়ার পরিমান = ১২৫০x৭÷১১ = ৭৯৫.৪৫ ঘনফুট cft
চিটাগুড়র পরিমান = {১২৫০÷(১০০x০.৭৫) } = ৯.৩৭৫ ~ ১০ টিন ।
তেতুলর পরিমান = {১২৫০÷(১০০x১.৫০)} =১৮.৭৫~১৯ কেজি kg ।
রসুনের পরিমান = {১২৫০÷(১০০x০.৫০)} = ৬.২৫ ~ ৭ কেজি kg ।
এর পর পানি দিয়ে মিশান হয়, এই মাল প্রতিদিন তেতুল ও চিটাগুড় ও রসুন ভেজানো পানি দিয়ে কাটতে হয় বা মিশানো হয়, ৭ থেকে ৮ টা কাটা দিতে হয় যেন মালটা ভালভাবে পচে মাল রেডি হলে ছাদে বিছানো হয়।
এখানে ঢালায়ের আগে স্লোপ হল প্রথম দেখার বিষয়, ভাল করে স্লোপ মেনটেন করে ঢালায় শেষ করতে হবে।
ছাদ শেষ হলে হালট ঢালায় কয়েক দিন পরে দিতে হয়।
এর পর কয়েক দিন পর ছাদ একটু শক্ত হলে পিটানো শুরু করতে হয় ভাল ভাবে পিটানোর পর সিমেন্ট, চুন মিলায়ে তালের ব্রাস দিয়ে ফিনিশিং দেওয়া হয়।
১৬২। প্রতি ঘনফুট ছাদে কি পরিমান মালামাল লাগে?
উত্তরঃ ২৫০০ বর্গফুট ছাদ । জলছাদের পুরুত্ব = ৪" । অনুপাত ২:২:৭ ।
ঢালায়ের পরিমান = {২৫০০x(৪"÷১২)} = ৮৩৩.৩৩ ঘনফুট cft ।
এখন আমরা জানি।
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে চুন লাগে ১২.৫০ মন ।
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে চিটাগুড় লাগে ০.৭৫ টিন ।
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে তেতুল লাগে ১.৫০ কেজি kg ।
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে রসুন লাগে ০.৫০ কেজি kg ।
এই হিসাব গুলি বাস্তবে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া ।
ভেজা মসলা = ৮৩৩.৩৩ ঘনফুট cft ।
শুকনা মসলা = ৮৩৩.৩৩x১.৫০ = ১২৫০.০০ ঘনফুট cft।
অনুপাত ২:২:৭ অনুপাতের যোগফল (২+২+৭)= ১১ ।
চুনের পরিমান = ১২৫০x২÷১১= ২২৭.২৭ ঘনফুট cft ।
সুরকীর পরিমান = ১২৫০x২÷১১= ২২৭.২৭ ঘনফুট cft ।
খোয়ার পরিমান = ১২৫০x৭÷১১ = ৭৯৫.৪৫ ঘনফুট cft
চিটাগুড়র পরিমান = {১২৫০÷(১০০x০.৭৫) } = ৯.৩৭৫ ~ ১০ টিন ।
তেতুলর পরিমান = {১২৫০÷(১০০x১.৫০)} =১৮.৭৫~১৯ কেজি kg ।
রসুনের পরিমান = {১২৫০÷(১০০x০.৫০)} = ৬.২৫ ~ ৭ কেজি kg ।
বাড়ির নির্মাণ বিষয়ে ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দেখুন।
No comments