ইঞ্জিনিয়ারিং সরকারি চাকুরি পেতে করণীয়।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাসকৃত সন্মানীত প্রকৌশলীগণ যারা সরকারি চাকুরি পেতে চান তাদের উদ্দেশ্য আজকের লেখা।
 
ইঞ্জিনিয়ারিং সরকারি চাকুরি পেতে করণীয়।

ইঞ্জিনিয়ারিং সরকারি চাকুরি পেতে করণীয়।
 
১। টাকা দিয়ে চাকুরি নিব এমন চিন্তা থেকে প্রথমেই বের হয়ে আসতে হবে। আমি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ২০১৪ সালে পাস করার পর আমার পরিচিত, স্বল্প পরিচিত প্রায় ৪০০ জন কে দেখেছি, যাদের চাকুরি পেতে অতিরিক্ত এক পয়সাও লাগেনি। গাজীপুরের ডুয়েট এলাকায় প্রায় ৩ বছর থাকার সুবাদে এটা দেখার সুযোগ হয়েছে বেশি। কারণ, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ৮০% সরকারি চাকুরি হয় ডুয়েট কেন্দ্রিক (ডুয়েট এর ছাত্র, ডুয়েটে ভর্তিচ্ছু ছাত্র, ডুয়েট এলাকায় বসবাসরত ছাত্র) ।

২। গত তিন বিছরে এমন এক জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পায়নি যে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে সরকারি চাকুরি নিতে পেরেছে।

৩। এমন অনেক পেয়েছি, সরকারি চাকুরি নেওয়ার জন্য কয়েক লাখ টাকা প্রস্তুত রেখেছেন, আবেদন করার পর কাউকে টাকা দিয়েছেন অথচ ফলাফলের সময় তার রোল নাই।

৪। কেউ আবার ভূতকে টাকা দেই। বুঝলেন না? হাতে টাকা থাকলে সেটা কাউকে না দেয়া পর্যন্ত শান্তি পায় না, মাথা কিলবিল করে। ভূতরা কয়েক জনের কাছে টাকা নিয়ে চুপচাপ থাকে, ফলাফলের সময় কারো রোল চলে আসলে বলে আমি কাজ করেছি। এই হলো ভূতের ব্যবসা।

৫। ৬- ১২ মাস কষ্ট করে লেখাপড়া করে আপনাকে চাকুরি পরীক্ষার সিলেবাস গুছাইতে হবে। BPSC, MIST, BUET, DPI, DU, AUST এর প্রশ্নপত্রের ধরণ অনেকটা আলাদা। পরীক্ষার ১০-১৫ দিন আগে যখন জানতে পারবেন প্রশ্নপত্র কোন প্রতিষ্ঠান প্রণয়ন করলো সে অনুযায়ী চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হবে।

৬। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে চাকুরি না পাওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদন করতে হবে। পদ সংখ্যা একটা হলেও আবেদন করতে হবে এবং প্রতিটা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

৭। আমি সেপ্টেম্বর, ২০১৪ থেকে নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত ৩০ টা আবেদন করি। ১৭ টা আবেদনের ২১ বার পরীক্ষার কক্ষে উপস্থিত হয়।ফলাফল একটা চাকুরি।

৮। দুইটা ফাইল এবং একটা নোট খাতা প্রথম থেকেই সংরক্ষণ করতে হবে। একটা ফাইলে প্রতিটা নিয়োগ বিজ্ঞপি এবং অপর ফাইলে এপ্লিকেন্ট কপি ও প্রবেশপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। নোট খাতায় পদের নাম, দফতর, পদ সংখ্যা, বিজ্ঞপ্তি নম্বর, ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড, রোল নম্বর ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.