সিমেন্ট তৈরির উপকরণ এবং সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল।

সিমেন্টের রাসায়নিক গঠন।
পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট সিমেন্ট এবং জল মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার থেকে তার শক্তি অর্জন করে। এই প্রক্রিয়াকে জলয়োজন,পানিশূন্যতা বা হাইড্রেসন(Hydration) হিসাবে পরিচিত। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া যা বুঝার জন্যে সবার আগে সিমেন্টের রাসায়ন বুঝতে হবে।

সিমেন্ট তৈরির উপকরণ এবং সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল।

সিমেন্ট তৈরির উপকরণ।
পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট নিম্নলিখিত উপকরণ দ্বারা, নিষ্পেষণ(crushing),মিলের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত করন(milling)এবং অনুপাত অনুযায়ী সুসমন্বিত করন(proportioning) করে উত্পাদিত হয়।

সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল।
✓চুন বা ক্যালসিয়াম অক্সাইড, CaO:- চুনাপাথর, খড়ি, জীবাশ্ম , নরম শীলা বা চুনসম্বলিত শিলা থেকে।
✓সিলিকা, SiO2:- বালি, পুরাতন বোতল, কাদামাটি বা মৃন্ময় শিলাতে থাকে।
✓এলুমিনিয়া, Al2O3:- বক্সাইট থেকে পুনর্ব্যবহৃত এলুমিনিয়াম, কাদামাটতে থাকে।
✓আয়রন, Fe2O3:- মাটি, লোহা আকরিক, স্ক্র্যাপ লোহা ও কারখানা থেকে নিঃসরিত ছাই থেকে পাওয়া যায়।
✓জীপসাম, CaSO4.2H20:- চুনাপাথর সঙ্গে একসঙ্গে পাওয়া,খনিতে বা সার কারখানার উপজাত থেকে পাওয়া যায়।
জিপসাম ছাড়া অন্যান উপকরণ গুলো নিদিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে প্রথমে গুড়ো ও পরে কাদা জাতীয় মন্ড তৈরি করা হয়। এই কজটি দুটি প্রক্রিয়ায় করা যায় এক - শুষ্ক প্রক্রিয়া বা দুই ভিজা প্রক্রিয়া। অতঃপর মন্ডটিকে কিলন মেশিনে ঢুকানো হয় যার তাপমাত্রা ২৬০০º ফারেনহাইট। পুড়ানোর ফলে ঈষৎ ধূসর কালো নুরির মত দলা বের হয় যা ক্লিংকার হিসাবে পরিচিত। এলুমিনিয়া এবং লোহা এখানে বালির গলনাঙ্ককে ৩০০০ থেকে ২৬০০º ফারেনহাইটে কমিয়ে আনে। তারপর ক্লিংকার গুলোকে ঠান্ডার করে সিমেন্ট মিলের ভিতর ঢুকানো হয় একে বারে গুড়ো/মিহি করার জন্যে। এই ক্ষেত্রে ক্লিংকারের সাথে জিপসামও নির্দিষ্ট অনুপাতে মশানো হয়।
 
cv.doc.docx

No comments

Powered by Blogger.