বাড়ির নির্মাণের জন্য জমি নির্বাচনের কিছু টিপস।

জমির আকার আয়তাকার কিংবা বর্গাকৃতির হলে ভালো হয়। এতে করে বাড়ির প্লান যেমন সুন্দর হয়, তেমনি জমিও
অপচয় হয় না। বাড়ি দেখতেও সুন্দর লাগে।

সাধারণত হাউজিং সোসাইটির জমি গুলোর আকার, আকৃতি সুন্দর হয়। কারণ জমি গুলোর আকার, আকৃতি নির্ধারণ করে রাজউকের নিয়ম অনুসারে। তাই হাউজিং সোসাইটির জমি দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা সুবিধাজনক। বাড়ি দেখতেও ভালো লাগে এবং ভালো পরিবেশ থাকে।
বাড়ির নির্মাণের জন্য জমি নির্বাচনের কিছু টিপস।
Floor plan 2160sft or 3 kata

অন্য দিকে প্রাইভেট জমির আকার, আকৃতিও সুন্দর পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে বাড়ি নির্মাণের জন্য সুন্দর আকৃতি, আকারের জমি একটু কষ্ট করে খুঁজে নিতে হবে। তার জন্য ভালো হয় যদি ইঞ্জিনিয়ারে সাথে পরামর্শ করে নেন। আরো জেনে রাখা ভালো যদি প্রাইভেট জমি আকৃতি ও সাইজ যদি ভালো না হয় তবে বাড়ির প্লান সুন্দর হবে না। আর বাড়ির প্লান সুন্দর না হলে, বাড়িও সুন্দর হবে না । আপনার জমি নষ্ট হবে এমন কি অনেক অংশ জমি অকেজো হয়ে থাকতে পারে।

প্রাইভেট বা হাউজিং যেখান থেকেই জমি কেনেন না কেন আগে ভালো করে খোঁজ খবর নিন জমির মধ্যে কোন আইনি ঝামেলা আছে কিনা। সে বিষয় খেয়াল করতে হবে।

নির্মাণ বাড়ি বা সাইটে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুরত্ব ইত্যাদির ব্যবস্থা কেমন। এই সব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

বাড়ি নির্মাণে জমির মাটি শক্ত এবং জমির উচ্চতায় বন্যার পানি যেন না ওঠে এমন জমি হলে ভালো হয়। এতে করে বাড়ি ফাউন্ডেশন নির্মাণের খরচ অনেক কমানো যায়।

সাধারণত জমি প্লট রাস্তার পার্শ্বে হলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যেমনঃ রিকসা, ভ্যান গাড়ি, প্রাইভেট গাড়ি। বাড়ি নির্মাণ কাজের মালামাল পরিবহন করার জন্য অনেক সুবিধা হয়।

বাড়ির নির্মাণে জমি কেনার পরিকল্পনা শহরের অবস্থান অনুযায়ী।
 
হাউজিং পরিকল্পনাবিদ শহরকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করে থাকে।
যেমনঃ

(ক) শিল্প এলাকা বা (Industrial Area)
(খ) ব্যবসায়িক এলাকা বা (Commercial Area)
(গ) আবাসিক এলাকা বা (Residential Area)

জমি ক্রয়ের সময় নিম্নলিখিত বিষয় গুলো মনে রাখতে হবে।

১। পতিত নিচু জমি আবাসিক বা হাউজিং প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত কি না ?

২। সম্পতির মধ্য অন্য কারো অংশিদারীত্ব আছে কি না?

৩। উন্নয়নকৃত জমির ভোগ দখলরত ও জমির মালিকানা দাবী যাচাই করা।

৪। জমি অন্য কারো দখলে আছে কি না  সেই ব্যপারে নিশ্চিত হওয়া।

৫। জমিতে কোন আইনি ঝামেলা বা মামলা মোকদ্দোমা আছে কি না সেই ব্যপারে নিশ্চিত হওয়া।

৬। জমি ও জমির আসল মালিকের ঠিকানা যাচাই করা।

জমি সংক্রান্ত নিম্নলিখিত বিষয় গুলো সঠিক আছে কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
 
(ক) জমির দাগ নং 

(খ) খতিয়ান নং

(গ) মৌজা নং

(ঘ) পৌরসভা

(ঙ) হোল্ডিং নিং

(চ) থানা

(ছ) জেলা
 
(জ) আর, এস

(ঝ) খারিস খতিয়ান নম্বর। 

এই সব সকল বিষয় যাচাই করে জমি ক্রয় করা উচিত। তাহলেই জমি ক্রয় করে লাভবান হতে পারবেন।

No comments

Powered by Blogger.